'টমাস পড়শি'তে আপনাকে স্বাগতম:

'টমাস পড়শি'তে আপনাকে স্বাগতম:

এম. নুরুজ্জামান (টমাস), উদ্যোক্তা, গ্রাফিক্স টমাস, গোমস্তাপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। স্বত্বাধিকারী, পড়শি কম্পিউটারস, গোমস্তাপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, বাংলাদেশ। মুঠোফোন:- / ০১৮২০-৫৬৪৩০৫।

সোমবার, ৯ মে, ২০১৬

পায়ের গোড়ালি ফাটা ও সমাধান::::

পায়ের গোড়ালি ফাটা ও সমাধান:::::

 পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ :

    শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস
    স্থূলতা
    সমানে খালি পায়ে হাঁটা বা চটি অথবা গোড়ালি খোলা জুতো পরা
    নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি
    খুব বেশি শুকিয়ে যাওয়া
    ময়েসচারাইজারের অভাব
    পায়ের সঠিক যত্ন না নেয়া
    অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

যদি সঠিক ভাবে পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয় তবে এই ফাটা অনেক বেশি গভীর পর্যন্ত চলে যায় যার ফলে রক্তপাতও হতে পারে। তাই পা ফাটাকে অবহেলা না করে এটি প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে। খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি প্রতিরোধ করতে পারেন এই যন্ত্রণাদায়ক পা ফাটা রোগটি।

চালের গুঁড়ার ব্যবহার

একমুঠো চালের গুঁড়ো নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু, ২ তেবিল চামচ ভিনেগার, ১ তেবিল চামচ অলিভ অয়েল/ আলমণ্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুণ। প্রথমে ১০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিয়ে এই পেস্টটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে স্ক্রাব করে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং শুষ্ক ভাবও চলে যাবে।

নিম পাতার ব্যবহার

১০/১৫ টি নিম পাতা নিয়ে ধুয়ে ভালো করে বেটে নিন। এতে ৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন পুরু করে। ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দ্রুত পা ফাটা রোধ করবে।

মধুর ব্যবহার

মধুর ময়েসচারাইজিং এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পা ফাটা ও শুষ্ক ত্বক দুটোই দূর করতে সাহায্য করে। অর্ধেক বালতি পানিতে ১ কাপ পরিমানে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি স্ক্রাবার দিয়ে আলতো করে পা ঘষে নিন।

গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার

গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পা ফাটা দূর করে। এবং গ্লিসারিন ত্বককে নরম ও কোমল করতে সহায়তা করে। সমান পরিমাণ গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালি ও পাতায় ম্যাসেজ করুণ।

কলার ব্যবহার

সব চাইতে সহজ পদ্ধতিটি হচ্ছে কলার ব্যবহার। একটি পাকা কলা নিয়ে তা ভালো করে পিষে নিন। পা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এই পিষে নেয়া কলাটি পায়ের ওপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট পড়ে গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।

লেবুর ব্যবহার

লেবুর এসিডিক উপাদান পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে পা ফাটা রোধ করে। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ঘষুন। এছাড়া হাল্কা গরম পানিতে লেবুর রস চিপে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ঝামা ইট দিয়ে ঘষে নিন পায়ের গোড়ালি। পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

লবণ গরম পানির ব্যবহার

অর্ধেক বালতি গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।

জেনে নিন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে ?

জেনে নিন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে ?

 গর্ভের শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? মা-বাবারও জানার আগ্রহের কমতি থাকে না। তবে ২০ সপ্তাহের আগে শিশুটির লিঙ্গ Gender সম্পর্কে ডাক্তার জানাতে পারেন না। ২০ সপ্তাহ তো অনেক সময়, একটু চেষ্টা করলেই আগে জানা যায়। অনেক মায়েরাই তাদের গর্ভের সন্তান সম্পর্কে আলট্রাসনগ্রাম করার আগেই জানতে পারেন। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব হয়, আজ আপনারাও তা জেনে নিন –

১. কোন খাবারের প্রতি আপনার আকর্ষণ :

বেশীরভাগ মহিলা গর্ভাবস্থায় হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভোগে। যার ফলে তাদের মাঝে বিভিন্ন কিছু খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। আপনার ক্ষুধিত খাদ্য টাইপ আপনার গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারে। আপনার যদি মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার ইচ্ছা হয়, তাহলে সম্ভবত মেয়ে হবে আর যদি নিমকি এবং মসলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে ছেলে হতে পারে।

২. পেটে সমস্যা হচ্ছে কি :

সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের গর্ভাবস্থায় সকালে হালকা বমি বা অন্য কোন সমস্যা হয় নি তাদের ছেলে হয়েছে। তবে, শিশুটি মেয়ে হলে পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং সকালে শারীরিক অসুস্থতা বেশি বৃদ্ধি পায়।

৩. পেটের অবস্থান :

গর্ভাবস্থায় পেট বেশি ভারী মনে হলে, মেয়ে শিশু হবে। আর যদি ভার কম অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে। শিশুটি যদি পেটের ডানদিকে আছে বলে মনে হয়, তাহলে মেয়ে হবে। আর যদি সমস্ত পেট জুড়ে বা বামদিকে অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে।

৪. হার্টবিট রেট :

ডাক্তারের নিকট চেকআপের সময়, যখন ডাক্তার আপনার গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করেন তখন লক্ষ্য রাখুন, হৃদস্পন্দনের রেট কত। হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে শিশুটি মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের রেট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।

৫. ব্রেকআউট :

গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বকে কি ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করছে? তাহলে অবশ্যই আপনার মেয়ে হবে। আগের দিনের মানুষ বলত, মেয়ে শিশুরা মায়ের সৌন্দর্য চুরি করে, তাই মায়ের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যদিও তা কুসংস্কার।

৬. রিং টেস্ট :

একটি আংটি নিয়ে সুতার সাথে বেঁধে নিন। তারপর আপনি শুয়ে আপনার পেটের উপর আংটিটি ঝুলিয়ে দিন। এবার আংটিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করুন। যদি আংটিটি আপনার মাথা ও পায়ের দিকে সমান সমান দুলতে থাকে, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি রিংটি গোল গোল ঘুরতে থাকে তাহলে আপনার ছেলে হবে।

৭. শিশুদের উপদেশ নিন :

গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় অনেক আপনজনেরা পেটের সাথে কান লাগিয়ে শিশুটিকে অনুভব করতে চায়। অনেক ছোট ছোট শিশু আছে, যারা পেটের সাথে কান লাগিয়ে কথা বলতে চায়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন, যদি কোন ছেলে শিশু আপনার পেটে কান লাগিয়ে বারবার শিশুটিকে অনুভব করতে চায়, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি কোন মেয়ে শিশু এ কাজটি করে, তাহলে আপনার ছেলে শিশু হবে।

এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে আপনি ডাক্তার বলার আগেই বুঝতে পারবেন, কে আসছে আপনার জীবনে।

ইংরেজী তারিখ থেকে বাংলা তারিখ বের করার নিয়ম:::::

ইংরেজী তারিখ থেকে বাংলা তারিখ বের করার নিয়ম:::

আপনি কি জানেন ইংরেজি ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা কোন মাসের, কত তারিখ ! বাংলা মাসের ৮ই ফাল্গুন আমাদের ২১শে ফেব্রুয়ারি। আমরা নিজ দেশের ভাষায় কথা বলার জন্য যুদ্ধ করেছি ,প্রাণ দিয়েছি তার পর এই ভাষা পেয়েছি, আর এই ভাষা দিবস মনে রাখি ইংরেজি তারিখ দিয়ে”!!!!
যাই হোক কিভিন্ন সময় যেমন চাকরির ইন্টারভিওর ক্ষেত্রে বাংলার কোন সনে আপনার জন্ম হয়েছিলো জানতে চাইলে কি করবেন তখন ? বা যে কেও প্রশ্ন করলো ১৯৭১ সালটি বাংলায় কত ছিল? এখন আমাদের ১৯৪৭,১৯৫২,১৯৭১, ইত্যাদি সনে জাতীয় পর্যায় বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে যেগুলো ইংরেজী সন দিয়েই আমরা মনে রাখি । কিন্তু বাংলায় শিখতে গেলে প্যাচ লেগে যাওর সম্ভাবনা থাকবে । তাই শুধু ইংরেজী সনটি জানা থাকলেই বাংলা সনটি খুব সহজেই বের করতে পারবেন।
ইংরেজি সাল দিয়ে, কিভাবে বাংলা সাল বের করবেন??
ইংরেজী সন থেকে 593 বিয়োগ করলে বাংলা সন পাওয়া যাবে। তাহলে ১৯৭১সালটি বাংলায় (১৯৭১-৫৯৩)সন ছিলো বা ১৩৭৭ সন ছিলো। অথবা ইংরেজী সনের জোড়া সংখা থেকে ৬ বিয়োগ ও যোগ করেও বের করা যায় । ১৯৭১=(১৯-৬)(৭১+৬)=(১৩)(৭৭)=১৩৭৭ ধরুন ২০১৫ সনটি বাংলায় কত সন সেটি কিভাবে বের করবো । ২০১৫\ সংখাটিতে ২০ ও ১৫ থেকে ২০-৬=১৪ এবং ১৫+৬=২১ তাহলে ১৪২১ সন হয়। এখন ইংরেজী তারিখ থেকে বাংলা তারিখ বের করবেন কিভাবে? যে কোন ইংরেজী তারিখ ও সন থেকে ৫৯৩বছর ৩মাস ১৩দিন বিয়োগ করুন, দেখবেন বাংলা তারিখ পেয়ে গেছেন! যেমনঃ ১৯৫২সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলা তারিখ ছিল-
সন-মাস-তারিখ
১৯৫২-০২-২১
-৫৯৩-০৩-১৩
─────────
উঃ১৩৫৮-১১-০৮(বিয়োগফল)
শুধু সন বের করার জন্য ১৯৫২=(১৯-৬)(৫২+৬) =১৩৫৮ পদ্ধতিটি মনে রাখলেই হবে। অর্থাত, ভাষা দিবসের বাংলা তারিখটি ছিলো ১৩৫৮সালের ৮ই ফাল্গুন। অনুরূপভাবে যেকোন ইংরেজী সনের বাংলা আপনি সহজেই জানতে পারবেন। এবার বাংলা মাসের নাম ও তারিখ জানার পালা।
বাংলা ১ লা বৈশাখ সবসময় ইংরেজি এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে শুরু হয় এবং অন্যান্য মাস গুলো ইংরেজি মাসের ১৩-১৬ তারিখের মধ্যে হয়ে থাকে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখকে বাংলা ১লা বৈশাখ হিসাবে উদযাপন করা হয়। বাংলা বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র এই পাঁচ মাস ৩১ দিনের হয় আর বাকি সব মাস ৩০ দিনের হয়। এবার জেনে নিন ইংরেজি মাসের কত তারিখে বাংলা মাস শুরু হয়। ইংরেজি মাসের ১৩ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে বাংলা মাসের শুরু হয়।
যেহেতু ইংরেজি ১৩-১৬ তারিখের মধ্যে বাংলা সব মাসের শুরুর দিন থাকে । আমাদের বাংলা মাসের কোড শুরু হয়েছে ইংরেজি এপ্রিল মাস থেকে। এপ্রিলের ১৪ তারিখ ১ বৈশাখ। মাসের নাম বের হয়ে গেলে তারিখ বের করার জন্য নিচের নিয়মটি মনে রাখুন। তারিখ থেকে মাসের কোড বাদ দিন সাথে ১ যোগ করুন।
২৮-১৪= ১৪+১ =১৫ বৈশাখ। তাহলে ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল হল ১৫ বৈশাখ ১৪২১ বঙ্গাব্দ রোজ সোমবার। আশা করি বুঝবার পারছেন। এবার নিজেকে যাচাই করুন নিচের তারিখটির সমাধান বের করে কাজী নজরুল ইসলামের জম্ম ১৮৯৯ সালের ২৫ মে জন্ম গ্রহণ করেন। আপনাদেরকে বলতে হবে এই বছর কাজী নজরুল ইসলামের কত তম জন্মদিন, বাংলা কোন মাসের কত তারিখ ও কি বার। বিঃ দ্রঃ ফেব্রুয়ারির ৩০ তারিখ কিংবা জুনের ৩১ তারিখ কি বার। এপ্রিল, জুন, সেপ্টেম্বর, নবেম্বর এই চার মাস কখনো ৩১শা হয় না। অপর পক্ষে ফেব্রুয়ারি কখনো ৩০শা হয় না। খেয়াল রাখবেন কিন্তু। যেমন ২১/০২/১৯৫২ ইংরেজি তারিখ টি বাংলায় কত তারিখ ছিল-
১৯৫২ বছর ২ মাস ২১ দিন
(-) ৫৯৩ ।। ৩ ।। ১৩ ।।
—————————————–
= ১৩৫৮ ।। ১১ ।। ০৮ ।।
৮ ই ফাল্গুন ১৩৫৮ সাল ।
খুব সরল হিসাব। ৯৬৩ হিজরি সনে, অর্থাৎ ৯৬৩ বাংলা সনে ১৫৫৬ খ্রিস্টীয় সন ছিল। ১৫৫৬ – ৯৬৩= ৫৯৩। পার্থক্য ৫৯৩ বছরের। অর্থাৎ এখনো খ্রিস্টীয় এবং বাংলা সনের মধ্যে পার্থক্য ৫৯৩ বছর। পূর্বে ইংরেজি সনের মতো বাংলা সনে কোনো লিপ-ইয়ার ছিল না। ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি চার বছর পরপর চৈত্র মাস ৩০ দিনের পরিবর্তে ৩১ দিনে গণনা করার পরামর্শ দেয়।
- See more at: http://www.somoyerkonthosor.com/archives/380886#sthash.tlG0FAVp.dpuf
 আপনি কি জানেন ইংরেজি ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা কোন মাসের, কত তারিখ ! বাংলা মাসের ৮ই ফাল্গুন আমাদের ২১শে ফেব্রুয়ারি। আমরা নিজ দেশের ভাষায় কথা বলার জন্য যুদ্ধ করেছি ,প্রাণ দিয়েছি তার পর এই ভাষা পেয়েছি, আর এই ভাষা দিবস মনে রাখি ইংরেজি তারিখ দিয়ে”!!!!

যাই হোক কিভিন্ন সময় যেমন চাকরির ইন্টারভিওর ক্ষেত্রে বাংলার কোন সনে আপনার জন্ম হয়েছিলো জানতে চাইলে কি করবেন তখন ? বা যে কেও প্রশ্ন করলো ১৯৭১ সালটি বাংলায় কত ছিল? এখন আমাদের ১৯৪৭,১৯৫২,১৯৭১, ইত্যাদি সনে জাতীয় পর্যায় বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে যেগুলো ইংরেজী সন দিয়েই আমরা মনে রাখি । কিন্তু বাংলায় শিখতে গেলে প্যাচ লেগে যাওর সম্ভাবনা থাকবে । তাই শুধু ইংরেজী সনটি জানা থাকলেই বাংলা সনটি খুব সহজেই বের করতে পারবেন।

ইংরেজি সাল দিয়ে,   কিভাবে বাংলা সাল বের   করবেন??

ইংরেজী সন থেকে 593 বিয়োগ করলে বাংলা সন পাওয়া যাবে। তাহলে ১৯৭১সালটি বাংলায় (১৯৭১-৫৯৩)সন ছিলো বা ১৩৭৭ সন ছিলো। অথবা ইংরেজী সনের জোড়া সংখা থেকে ৬ বিয়োগ ও যোগ করেও বের করা যায় । ১৯৭১=(১৯-৬)(৭১+৬)=(১৩)(৭৭)=১৩৭৭ ধরুন ২০১৫ সনটি বাংলায় কত সন সেটি কিভাবে বের করবো । ২০১৫\ সংখাটিতে ২০ ও ১৫ থেকে ২০-৬=১৪ এবং ১৫+৬=২১ তাহলে ১৪২১ সন হয়। এখন ইংরেজী তারিখ থেকে বাংলা তারিখ বের করবেন কিভাবে? যে কোন ইংরেজী তারিখ ও সন থেকে ৫৯৩বছর ৩মাস ১৩দিন বিয়োগ করুন, দেখবেন বাংলা তারিখ পেয়ে গেছেন! যেমনঃ ১৯৫২সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলা তারিখ ছিল-
সন-মাস-তারিখ
১৯৫২-০২-২১
-৫৯৩-০৩-১৩
─────────
উঃ১৩৫৮-১১-০৮(বিয়োগফল)

শুধু সন বের করার জন্য ১৯৫২=(১৯-৬)(৫২+৬) =১৩৫৮ পদ্ধতিটি মনে রাখলেই হবে। অর্থাত, ভাষা দিবসের বাংলা তারিখটি ছিলো ১৩৫৮সালের ৮ই ফাল্গুন। অনুরূপভাবে যেকোন ইংরেজী সনের বাংলা আপনি সহজেই জানতে পারবেন। এবার বাংলা মাসের নাম ও তারিখ জানার পালা।

বাংলা ১ লা বৈশাখ সবসময় ইংরেজি এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে শুরু হয় এবং অন্যান্য মাস গুলো ইংরেজি মাসের ১৩-১৬ তারিখের মধ্যে হয়ে থাকে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখকে বাংলা ১লা বৈশাখ হিসাবে উদযাপন করা হয়। বাংলা বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র এই পাঁচ মাস ৩১ দিনের হয় আর বাকি সব মাস ৩০ দিনের হয়। এবার জেনে নিন ইংরেজি মাসের কত তারিখে বাংলা মাস শুরু হয়। ইংরেজি মাসের ১৩ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে বাংলা মাসের শুরু হয়।

যেহেতু ইংরেজি ১৩-১৬ তারিখের মধ্যে বাংলা সব মাসের শুরুর দিন থাকে । আমাদের বাংলা মাসের কোড শুরু হয়েছে ইংরেজি এপ্রিল মাস থেকে। এপ্রিলের ১৪ তারিখ ১ বৈশাখ। মাসের নাম বের হয়ে গেলে তারিখ বের করার জন্য নিচের নিয়মটি মনে রাখুন। তারিখ থেকে মাসের কোড বাদ দিন সাথে ১ যোগ করুন।

২৮-১৪= ১৪+১ =১৫ বৈশাখ। তাহলে ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল হল ১৫ বৈশাখ ১৪২১ বঙ্গাব্দ রোজ সোমবার। আশা করি বুঝবার পারছেন। এবার নিজেকে যাচাই করুন নিচের তারিখটির সমাধান বের করে কাজী নজরুল ইসলামের জম্ম ১৮৯৯ সালের ২৫ মে জন্ম গ্রহণ করেন। আপনাদেরকে বলতে হবে এই বছর কাজী নজরুল ইসলামের কত তম জন্মদিন, বাংলা কোন মাসের কত তারিখ ও কি বার। বিঃ দ্রঃ ফেব্রুয়ারির ৩০ তারিখ কিংবা জুনের ৩১ তারিখ কি বার। এপ্রিল, জুন, সেপ্টেম্বর, নবেম্বর এই চার মাস কখনো ৩১শা হয় না। অপর পক্ষে ফেব্রুয়ারি কখনো ৩০শা হয় না। খেয়াল রাখবেন কিন্তু। যেমন ২১/০২/১৯৫২ ইংরেজি তারিখ টি বাংলায় কত তারিখ ছিল-

১৯৫২ বছর ২ মাস ২১ দিন
(-) ৫৯৩ ।। ৩ ।। ১৩ ।।
—————————————–
= ১৩৫৮ ।। ১১ ।। ০৮ ।।
৮ ই ফাল্গুন ১৩৫৮ সাল ।

খুব সরল হিসাব। ৯৬৩ হিজরি সনে, অর্থাৎ ৯৬৩ বাংলা সনে ১৫৫৬ খ্রিস্টীয় সন ছিল। ১৫৫৬ – ৯৬৩= ৫৯৩। পার্থক্য ৫৯৩ বছরের। অর্থাৎ এখনো খ্রিস্টীয় এবং বাংলা সনের মধ্যে পার্থক্য ৫৯৩ বছর। পূর্বে ইংরেজি সনের মতো বাংলা সনে কোনো লিপ-ইয়ার ছিল না। ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি চার বছর পরপর চৈত্র মাস ৩০ দিনের পরিবর্তে ৩১ দিনে গণনা করার পরামর্শ দেয়।
ইংরেজী তারিখ থেকে বাংলা দিন মাস সন বের করবেন যেভাবে—- - See more at: http://www.somoyerkonthosor.com/archives/380886#sthash.tlG0FAVp.dpuf