আপনি কি প্রাইজবন্ড জিতেছেন? তাহলে কীভাবে পুরুস্কারের অর্থ দাবির জন্য আবেদন করতে হয় জেনে নিন!
প্রাইজবন্ড জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই থেকে এর মুনাফার ওপর ২০ শতাংশ উৎসে কর আরোপ করে সরকার।
”ড্র” অনুষ্ঠানের দুই বছর পর্যন্ত পুরুস্কারের টাকা দাবি করা যায়। এর মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরুস্কারের অর্থ তামাদি হয়ে সরকারি.....কোষাগারে ফেরত যায়। দাবি করার দুই মাসের মধ্যে পুরুস্কার দিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরুস্কারের অর্থ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, আপনি এখানে ক্লিক করে অথবা এখানে ক্লিক করে প্রাইজবন্ডের ফলাফল জানতে পারবেন।
নির্ধারিত ফরমে আবেদন---- বিস্তারিত এখানে পাবেন।
আবেদন পত্রের সাথে যে কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবেঃ
১। অরিজিনাল প্রাইজবন্ড
২। প্রাইজবন্ডের এককপি সত্যায়িত ফটোকপি।
৩। নির্ধারিত ফরম পুরুণ করে তা সত্যায়িত করে নিতে হবে।
৪। পাসপোর্ট সাইজের ২ (দুই) কপি সত্যায়িত ছবি।
৫। ন্যাশনাল আই. ডি কার্ডের এক কপি সত্যায়িত ফটোকপি।
৬। ব্যাংকের চেকবই পাতা এক কপি সত্যায়িত ফটোকপি।
মনে রাখতে হবে
(১) গ্রাহকের চেকবইয়ে যে নাম আছে, ফরমের উপর যেন সেই একই নাম হবুহু লেখা হয়।
(২) সকল কাগজপত্র ১ম শ্রেণী গেজেটেড কর্মকর্তা কতৃক সত্যায়িত হতে হবে।
প্রাইজবন্ডের পুরুস্কার পরিশোধ পদ্ধতিতে পরিবর্তন
প্রাইজবন্ডের পুরুস্কার পরিশোধ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন শুধু ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রাইজবন্ডের পুরুস্কারের অর্থ দেওয়া হত। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসের মাধ্যমেই প্রাইজবন্ডের পুরুস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ২০১৭) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রাইজবন্ডের পুরুস্কার বিজয়ীদের দাবি করা পুরুস্কারের অর্থ স্বল্প সময়ে এবং সহজে তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর জন্য প্রাইজবন্ডের পুরুস্কার পরিশোধ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসের মাধ্যমেই প্রাইজবন্ডের পুরুস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
ধন্যবাদ।
Blogger site list for backlink
উত্তরমুছুন